Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

who

Monkeypox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের!


নিউজ ডেস্ক: আগেই দেশে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্ত হয়েছিলেন একজন। তবে তা হু-র উদ্বেগ বাড়ানো বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট ছিল না। কিন্তু এবার খারাপ খবর, মাঙ্কিপক্সের নতুন উপরূপ ক্লেড ১বি-এর সংক্রমণের হদিশ মিলল ভারতেও। জানা গিয়েছে, কেরলের এক ব্যক্তির দেহে এই ক্লাড ১ স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মাঙ্কিপক্সের এই ক্লাড ১ স্ট্রেন নিয়েই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এবার সেই স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।

আটত্রিশের বছরের ওই যুবক সদ্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছেন। এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) ক্লাড ১ স্ট্রেনে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন। এই স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে। চলতি বছরে আফ্রিকা মহাদেশে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। ৮০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আর ঠিক এই কারনেই মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) নতুন উপরূপ বিশ্বের একাধিক দেশে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। মাঙ্কিপক্সের এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। অফ্রিকায় ছড়ানোর পর গত অগাস্ট মাসে এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে হু (WHO)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে উদ্বেগের মধ্যেই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উৎসবের মরশুমে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্র।

আশির দশকে প্রথম মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। আর সে কারনেই মৃত্যু পর্যন্ত হয়।

Sweta Chakrabory | 17:02 PM, Tue Sep 24, 2024

Lancet Global Study: অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’! দাবি ‘ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি’ রিপোর্টের

নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের ফিটনেস নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে গ্লোবাল হেলথ জার্নালে। ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডির (Lancet Global Study) ওই সমীক্ষা অনুসারে, অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন তথ্য রীতিমতো উদ্বেগের। ওই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে অর্ধেকের চেয়ে বেশি সংখ্যক নাগরিকই পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীর চর্চা করেন না এবং শরীর চর্চার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও-এর যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা কোনওভাবেই তাঁরা মেনে চলেন না। যার কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ছেন তাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষমতার দিক থেকে ভারতীয় পুরুষদের থেকে মহিলাদের হার অনেক বেশি। ওই রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মধ্যে শারীরিকভাবে আনফিট ৪২ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে এই সংখ্যা ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শারীরিক অক্ষমতার হার বেশি।

সবচেয়ে উদ্বেগ ওই সমীক্ষায় (Lancet Global Study) প্রকাশিত হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে শরীরচর্চার প্রবণতা একেবারেই নেই। শরীরচর্চার বিষয়ে অবহেলা করেন তাঁরা। রিপোর্টে আরও দেখা যাচ্ছে, ২০০০ সালে পুরুষদের মধ্যে শরীরচর্চা করতেন না ২২.৩ শতাংশ। ২০২২ সালে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ। অর্থাৎ উদ্বেগজনক ভাবে রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভারতীয় নাগরিকই শারীরিক সক্ষমতা হারাবেন, শরীরচর্চা না করার জন্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' (WHO Health Guidelines) সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিটের শরীরচর্চা করার সুপারিশ করে। প্রতিদিন গড়ে ২০ মিনিটের শরীরচর্চা যেকোনও ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সক্ষম করে তুলতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তার কারণেই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগের সম্ভাবনা (Lancet Global Study) বেড়েই চলেছে। বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস, ডিমনেশিয়া এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি।

ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি (Lancet Global Study), ১৯৫ দেশের ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, তালিকায় ভারত গোটা বিশ্বে ১২তম স্থান অধিকার করেছে। বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই শরীর চর্চা করেন না বলে ওই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ ২০২২ সালে শরীরচর্চার কোনও নির্দেশিকা মানেনি। শরীরচর্চার বিষয়ে সবথেকে বেশি অবহেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে। যেখানে ৪৮ শতাংশ মানুষই শরীরচর্চার বিষয়ে অবহেলা করেন। পশ্চিমীদেশ গুলোতে এই হার ২৮ শতাংশ। এবিষয়ে ডাক্তার প্রজ্ঞা শুক্লা বলেন, ‘‘যুব সমাজের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে। শরীরচর্চা না করার জন্য।’’ একই মত ভারতীয় ডাক্তার অনুপ সারিয়ারও।

Sweta Chakrabory | 15:30 PM, Tue Jul 02, 2024
upload
upload