নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল (RG Kar Protest) করে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধরনা তুললেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে তাদের সব দাবি না মিটলে ফের তাঁরা অবস্থানে ফিরবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। এরইমধ্যে শুক্রবারের মিছিল থেকে বারাবার উঠল তিলোত্তমা হত্যার বিচারের দাবি। খানিক চাপ বাড়ল সিবিআইয়ের উপরেও।
প্রসঙ্গত, টানা ৪২ দিন কর্ম বিরতিতে অনড় থাকার পর অবশেষে রাজ্য সরকার এবং নবান্নের মুখ্য সচিবের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের পর কাজে ফেরার ব্যাপারে সহমত প্রদান করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিশেষ করে তাদের যে মূল দাবি ছিল হাসপাতালে তাদের সুরক্ষা ও থ্রেট কালচার বন্ধ হওয়া এই দুই দাবি নিয়ে শুরু হয়েছিল টানা পড়েন অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নবান্নে মুখ্য সচিবের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠকে বসে জুনিয়র চিকিৎসা করা। তারপরেই গত বৃহস্পতিবার নবান্নের মুখ্য সচিবের তরফ থেকে স্বাস্থ্য সচিবের উদ্দেশ্য একটি চিঠি পাঠানো হয় যেখানে এই চিকিৎসকদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে ১০ টি দফা উল্লেখ করা হয়। আর সেই নির্দেশ নামা জারির পরেই এই জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের অবস্থান-বিক্ষোভের (RG Kar Protest) পাশাপাশি আংশিক কর্ম বিরতিতে যোগদান করার কোথাও জানিয়েছেন। তবে এখনই থামছে না বিচারের দাবিতে তাদের আন্দোলন। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে যে যার নিজ নিজ কলেজে জারি থাকবে এই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আন্দোলন।
অন্যদিকে একইসঙ্গে ‘আর জি করের বিচার চাই’ এই দাবিকে সামনে রেখে হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত শুরু হতে চলেছে মশাল মিছিল (RG Kar Protest)। নাগরিক সমাজের ডাকে এই মিছিল ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রাত ১২টা নাগাদ গৌঁছাবে শ্যামবাজারে। ইতিমধ্যে বহু মানুষ এই মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য জড়ো হতে শুরু করেছেন। কারুক হাতে প্ল্যাকার্ড, তাতে লেখা ‘তিলোত্তমা একটি আন্দোলনের নাম’। আবার কারুর মুখে স্লোগান ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’।
জানা গিয়েছে, মশাল মিছিলে (RG Kar Protest) যোগ দিতে চলেছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স সহ সর্বস্তরের স্বাস্থ্য কর্মীরা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, শিক্ষক, লেখক শিল্পী, চলচ্চিত্র ও নাট্য কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষরা । এই মিছিল এসএসকেএম সহ বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের পাশ থেকে যাবে। উদ্যোক্তারা আরজি কর হাসপাতালে মশাল নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সেখানে এখন মিটিং মিছিলে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই রাতে শ্যামবাজারে এসে শেষ হবে মিছিল।এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে।