Thursday, November 14, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Supreme Court Judgement: ‘নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম সুবিধাভোগী মমতা’, মন্তব্য প্রাক্তন বিচারপতির

Pankaj Kumar Biswas | 15:41 PM, Tue Apr 30, 2024

মমতাকে বেনজির আক্রমণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

 নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) ডিভিশন বেঞ্চে প্যানেল বাতিলের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Judgement) চ্যালেঞ্জ করে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়নি বরং শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে জুন মাস পর্যন্ত। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমানে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া এবং কোর্টের রাজ্য সরকারকে কোন বাড়তি সুবিধে না দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,“ কেন অযোগ্যদের চাকরি হল। এর উত্তর আগে দিক ওরা কেন ওআরের তথ্য নষ্ট করে দেওয়া হল এর উত্তর পাওয়া যায়নি।অতিরিক্ত প্যানেল সৃষ্টি করে যাদের বাড়তি নেওয়া হলতাঁরা কেন চাকরি করবেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কারা সুবিধাভোগী তা পুনরায় খুঁজে দেখার বিষয় উঠছে এ বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব,“প্রথম সুবিধাভোগীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো।তাঁদের এখনই সিবিআইইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীবলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকার কোন অধিকার নেই মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”

 

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে বিচারব্যবস্থা কাউকে রেয়াত করেননি।  যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে তাদেরও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,“যারা এত গরী। যারা যোগ্য। কেউ এমএ পাস করেছে, কেউ বিএড করেছে তাঁদের সিস্টেম অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে এক দুটো ভুল হয়ে থাকলে আমরা শুধরে নেব তাই বলে তুমি চাকরি খেয়ে নেবে আমরা ২ লক্ষ চাকরির রেডি রাখছি লজ্জা করে না তোর ভাই বোনের যদি চাকরি চলে যেত তুই তাহলে কি করতি।তোর টাকা আছে। নিজের টাকা বাঁচাতে ভাজপা মেশিনে গেছিস।”সেদিন বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিরোধী দলকে আক্রমণ করার সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।   

পাল্টা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,“ওনারা তো বলেছিলেন হাইকোর্ট নাকি বিজেপির কোর্ট। তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে কি বলবেন সুপ্রিম কোর্ট ও কি বিজেপির কোর্ট। যে প্রশ্নগুলি তুলেছে আদালততাঁর উত্তর কোথায়।” 

অতিরিক্ত পদ তৈরি সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছিলেন তাঁদের উপর সিবিআইয়ের কড়া পদক্ষেপের বিষয়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, “সেক্ষেত্রেপুরো মন্ত্রিসভা সিবিআই হেফাজতে চলে যেত। এই ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার করে দিয়েছিল যারা  অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছিল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাতে রাজ্য সরকার মোটেও স্বস্তির জায়গাতে নেই এমনকি প্যানেলে না থাকা চাকরি প্রাপকদের নিয়ে তাঁদের পর্যবক্ষণে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।” নিয়োগ দুর্নীতিকে ভয়ংকর দুর্নীতি আখ্যা দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

upload
upload