Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে গঙ্গায় ডুবে গেল দমকলের গাড়ি,নিখোঁজ চালক
Sweta Chakra... | 18:06 PM, Sat Dec 21, 2024
Kejriwal announces ambedkar scholarship: আম্বেদকর স্কলারশিপের ঘোষণা কেজরির, দলিতদের শিক্ষায় দিলেন জোর
Sweta Chakra... | 18:00 PM, Sat Dec 21, 2024
kuwait: কুয়েত পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রবাসী ভারতীয়রা
Sweta Chakra... | 17:45 PM, Sat Dec 21, 2024
Mandarmoni: মন্দারমণির হোটেলে উদ্ধার তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ, আটক বান্ধবী
Sweta Chakra... | 16:08 PM, Sat Dec 21, 2024
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেলারে আগুন
Sweta Chakra... | 15:52 PM, Sat Dec 21, 2024
Murshidabad: জলঙ্গিতে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার, শোরগোল দক্ষিণপাড়ায়
Sweta Chakra... | 15:23 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:59 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:44 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:39 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:36 PM, Sat Dec 21, 2024
PM narendra modi visit kuwait: ২১-২২ ডিসেম্বর কুয়েত সফরে যাচ্ছেন মোদী, একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
Sweta Chakra... | 18:01 PM, Fri Dec 20, 2024
Mamata Banerjee At Krishnanagar: কৃষ্ণনগরের সভা থেকেই CAA-NRC নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে জনসভা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়৷ কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ায় সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে এই সভা হচ্ছে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভা থেকেই সিএএ থেকে এনআরসির মত একাধিক ইস্যু নিয়ে ফের সুর চড়ালেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বাদ গেল না বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফও । মঞ্চ থেকে আবার একলা চলো-র বার্তাও দেন তিনি।
রবিবার প্রকাশ্য জনসভায় দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির (Krishnanagar Rajbari) ইতিহাস নিয়েও ফের ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi) নিশানা করেছেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণনগরের অমৃতা রায় ৷ গত বছর প্রশ্নের বিনিময়ে অর্থ কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে ৷ সেই ঘটনার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই কেন্দ্রটি থেকেই ফের প্রার্থী হবেন মহুয়াই ৷ এবার সেই মহুয়ার হয়েই কৃষ্ণনগরে প্রচারে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মহুয়ার হয়ে জনসমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট নিয়েও মুখ খুললেন মমতা। জানালেন, I.N.D.I.A জোটের নামটাও তাঁর দেওয়া। নির্বাচন মিটলে বাকিটাও দেখে নেবেন তিনি। এদিন মমতা আরও বলেন, "তৃণমূলকে কেন ভোট দেবেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তো। মাসে মাসে পেয়ে যাবেন। সারাজীবন পাবেন। মোদিকে এখন ঝুটা কথা বলতে হচ্ছে। জুমলা পার্টি বিজেপি। দেওয়াললিখন দিচ্ছে ৩০০০ দেবে। আমি বলি আগে ১০০ টাকা দিয়ে দেখা। এতদিন কেন দিসনি? এটা আমাদের করা। তোমাদের নয়। আজ পর্যন্ত না মেয়ে, না ছেলে, না কৃষক, না হিন্দু, না মুসলিম, না শিখ, না মতুয়াদের জন্য, কারও জন্য কিছু করোনি।"
Foreigner arrested: বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার
বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার। ধৃতদের নাম আলমগীর হুসেন(৩৪) বাংলাদেশ নিবাসী। নেপালের বাসিন্দা অনুপ তামাং (৩২)। জানা গিয়েছে খড়িবাড়ি ভারত নেপাল সীমান্ত দিয়ে নেপাল নিবাসী অনুপ তামাঙ স্বচ্ছ মদত দিয়ে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীকে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে। সে সময় সশস্ত্র সীমাবলের জওয়ানেরা হাতে নাতে পাকড়াও করে। তাদের কাছে বৈধ পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তার কোন প্রমাণ পত্র পেশ করতে পারিনি বাংলাদেশ নিবাসী আলমগীর। এতেই সন্দেহ দৃঢ় হয়। এরপরই আলমগীরকে গ্রেফতার জিজ্ঞাসাবাদে চাপ দিতেই সে স্বীকার করে সে বাংলাদেশ নাগরিক। তার কাছে ভারতে প্রবেশের কোন বৈধ নথিপত্র নেই। নেপালি নিবাসী অনুপের কথামতো তার মদতেই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল সে। বাংলাদেশের নাগরিক ওই যুবককে হার গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাকে মদত দেওয়ার অভিযোগে নেপাল নিবাসী যুবক কেও খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসেসবি। হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
Suvendu Adhikari: বলাগরের সভা থেকে সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
নিউজ ডেস্ক: হুগলী জেলার বলাগরে বিজেপির বিজয় সংকল্প সভায় শুভেন্দু অধিকারী। সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি অনেক বছর থেকেই বলে আসছে যদি আমাদের সরকার কেন্দ্রে আসে আমরা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেব।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ করে বলেন যে,' তৃণমূল সুপ্রিমো সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। উনি বলছেন যে সিএএ লাগু হলে নাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব চলে যাবে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি সি এ এ নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এসেছে। কারণ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয় যদি একটা ও মানুষের নাগরিক্ত যায় আমি শুভেন্দু অধিকারী রিজাইন দিয়ে সব পথ ছেড়ে দেবো। যদি মুখ্যমন্ত্রী সত্যি বলছেন তাহলে উনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলুন যে উনি সত্যি মানুষকে বোঝাচ্ছেন। '
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের মুখে সম্প্রতি CAA লাগু করেছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির তরফে বার বারই দাবি করা হয়েছে যে এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও সিএএ-র বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেছেন, মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার আইন, খুবই মারাত্মক।
Abhishek Banerjee: কাটোয়ার সভা থেকেই বকেয়া নিয়ে বিজেপিকে ফের নিশানা অভিষেকের
নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে দাড়িয়ে শুক্রবার কাটোয়ায় ভোট প্রচারে গিয়েছেন অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়। কাটোয়া স্টেডিয়ামে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা থেকেই বকেয়া নিয়ে বিজেপিকে ফের নিশানা করলেন অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়।
এদিন সভা থেকে অভিষেক জানান, "গরিব মানুষের ন্যায্য দাবি নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম। বাংলার প্রাপ্য টাকা দিল্লি থেকে ফিরিয়ে আনবই।"পাশাপাশি, সিএএ নিয়েও কথা বলতে ছাড়লেন না তিনি৷ ''এখন ভোটের আগে বলছেন, সিএএ করব। সিএএ আইন পাশ করেছে ২০১৯ সালে। আপনার খালি নিয়মাবলী তৈরি করতে লেগে ৫ বছর। এটা আর একটা জুমলা। ৪০ পাতার মধ্যে ৩৮ পাতা খালি ফর্ম! আপনি ফর্ম ফিলাপ করুন, তারপরে আপনি কোথায় যাবেন, কার কাছ আবেদন করবেন, কিছু স্পষ্ট করে বলা নেই। এই জুমলায় পা দেবেন না''।
পাশাপাশি এদিন অভিষেক আরও বলেন, ‘‘কেউ ১০ পয়সা পায়নি। বলেছিল ১৫ লাখ দেব। বলেছিল দুই কোটি চাকরি হবে বছরে। একটা চাকরি দেয়নি। সাংসদ হয়েছেন এস এস আহলুওয়ালিয়া। একটা বুথেও এলাকার কাজ হয়নি।’’ তাঁর কথায়, ''ভোটের আগে রাজনীতি করছে বিজেপি। ভোটে জেতার পর দু'বছর কাউকে দেখা যায়নি। ভোট এসেছে, আবার আপনারা এসেছেন। আপনারা কার গ্যারান্টি নেবেন? দিদি না মোদী''?
Subhasgram Suicide Case: সিএএ আতঙ্কে আত্মহত্যা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য?
নিউজ ডেস্ক : সিএএ আতঙ্কে আত্মহত্যা। সিএএ আতঙ্কে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতার নেতাজিনগরের বাসিন্দা দেবাশিস সেনগুপ্ত। ঘটনার পর তাকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে মৃতের পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট করেছেন যে, CAA এবং NRC-এর জন্য এবং তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা নিয়ে ৩১ বছর বয়সী ওই ব্যাক্তি ঘন ঘন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছিলেন।
উল্লেখ্য দেশে সম্প্রতি কার্যকর হয়েছে সিএএ। এই সিএএ এর হাত ধরে দেশে জারি করা হবে এনআরসি। বৈধ নথি না থাকলে যেতে হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এমন আতঙ্ক রয়েছে অনেকের মধ্যেই। এবার সেই আতঙ্কেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতার এই ব্যক্তি।
ঘটনার খবর পেয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে ওই ব্যাক্তির বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলে রয়েছেন নাদিমুল হক, শশী পাঁজা,কুনাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ ও অরূপ চক্রবর্তী। যদিও সিএএ আতঙ্কেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি এর পেছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।
BREAKING CAA: CAA স্থগিতাদেশে 'না' সুপ্রিম কোর্টের
সিএএ নিয়ে স্থগিতাদেশ দিলনা সুপ্রিম কোর্ট। ২ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ। পাঁচ পাতার সংক্ষিপ্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আবেদনকারীদের হলফনামা জমা দেওয়া নির্দেশ।
সিএএ-এর উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একগুচ্ছ মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই সব মামলার শুনানিতে এবার কেন্দ্রের উত্তর জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে শীর্ষ আদালতে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে। পরবর্তী শুনানি ৯ এপ্রিল।
Suprime Court On CAA Rules: সিএএ সংক্রান্ত ২০০টিরও বেশি পিটিশনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক: CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর অধীনে বিধিগুলি কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল৷মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলার শুনানি করতে চলেছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ এখনও পর্যন্ত সিএএ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে এই আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে ২০০ টিরও বেশি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি রয়েছে৷ এ বিষয়ে আদালতের রায় এখনও আসেনি।
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইন লাগু হওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারির পরই ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ-সহ অন্যান্য একাধিক সংগঠনের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন দাখিল করা হয়েছে ৷ প্রত্যেক আবেদনকারীই রিট পিটিশনে সিএএ আইনের বিধির উপর স্থগিত চেয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে আইইউএমএলের দায়ের করা আবেদনে, আইনজীবী কপিল সিব্বল এই বিষয়ে জরুরি শুনানির আবেদন করেছিলেন। এবার এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলার শুনানি করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, CAA সংক্রান্ত মামলাগুলি ২০২২ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে বিচরাধীন ছিল। প্রধান বিচারপতি অবসরগ্রহণের পর এই মামলাগুলি বর্তমানে বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
তবে এই আইন কার্যকর হতেই এর বিরোধিতা করে একের পর এক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। নতুন আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারতীয় মুসলিম লিগ, ডিওয়াইএফআইয়ের মতো একাধিক সংগঠন। মঙ্গলবার সেই মামলাগুলিরও শুনানি দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
CAA Application: ঘরে বসেই কীভাবে আবেদন করবেন নাগরিকত্বের, খরচ কত জেনে নিন
সারা দেশে চালু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্বের আইন। এই আইন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা রাখতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সিএএ আবেদন কীভাবে করতে হবে তার বিস্তারিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এই নির্দেশিকায় আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি কারা আবেদন করতেন, কীভাবে আবেদন করবেন, কোথায় পাবেন আবেদনপত্র, কোন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে, কীভাবে মিলবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র সমস্তটাই বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক ঘরে বসেই কীভাবে আবেদন করবেন সিএএ-র।
কীভাবে আবেদন করবেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে?
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬ এর বি ধারায় অনলাইনের মাধ্যমে সিএএ আবেদন করা যাবে। আবেদনপত্র পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট indiancitizenshiponline.nic.in এ। এছাড়াও মোবাইল ফোনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সিএএ ২০১৯ (CAA-2019) নামের অ্যাপ ডাউনলোড করলে সেখানেও পাবেন এই নাগরিকত্বের আবেদনপত্র। এই অ্যাপের মধ্যে ইচ্ছুকরা ঘরে বসে মোবাইল ফোন থেকেই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের গোটা প্রক্রিয়াটাই হবে ঘরে বসে।
এই আবেদনপত্রটি অনলাইনের মাধ্যমে জেলাস্তরের কমিটি অর্থাৎ ডিএলসির মারফৎ সিএএ সংক্রান্ত এমপাওয়ারড কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। অবশ্য তার আগে আবেদনকারীকে জানতে হবে কোন বিভাগে আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সমস্ত গাইড ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপেই পাওয়া যাবে। এই আবেদনপত্রে নানা ভাগ রয়েছে। কে কোন বিভাগের জন্য ফর্ম তুলবেন তা লেখা আছে ওই গাইডেই।
আবেদনপত্র জমা দিতে লাগবে ৫০টাকা। আবেদনপত্র পূরণ করে উল্লেখিত সমস্ত নথি অনলাইনে জমা দেওয়ার আগে এই টাকা অনলাইনেই জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। টাকা জমা দেওয়ার পরই আবেদনকারী আবেদন জমা দেওয়ার পর্বে প্রবেশ করবেন।
আবেদন জমা দেওয়া সম্পূর্ণ হলে আবেদনকারীকে একটি ডিজিটাল প্রাপ্তিস্বীকার পত্র দেওয়া হবে।
এরপর ফর্ম জমা দেওয়ার সময় অনলাইনে জানতে চাওয়া হবে নাগরিকত্বের ডিজিটাল কপি চাই নাকি কাগজের শংসাপত্র চাই। যদি কাগজে সই করা শংসাপত্র প্রয়োজন হয় তাহলে তার জন্য আবেদন করতে হবে। অন্যথায় ডিজিটাল শংসাপত্র পাবেন আবেদনকারী।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরবর্তী ধাপ হল যাচাইপর্ব। আবেদন জমা করার পর প্রথমে এই আবেদন যাচাই করবে জেলাস্তরের কমিটি অর্থাৎ ডিএলসি। এরপর যাচাই সম্পূর্ণ হলে ডিএলসির তরফে ইমেল অথবা এসএমএস এর মাধ্যমে তা আবেদনকারীকে জানানো হবে। ওই এসএমএসে ডিএলসি আবেদনকারীকে জানিয়ে দেবে কবে কখন আসল নথি দিয়ে দেখা করতে হবে।
আবেদন এবং যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়ে দেশের প্রতি আনুগত্যের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। যদি আবেদনকারীর তথ্যে সমস্যা বা ঘাটতি থাকে তাহলে আবেদনকারীকে নতুন করে সেই উপযুক্ত নথি জমা করতে বলা হবে ডিএলসির তরফে।
যদি আবেদনকারী প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না পারেন অথবা যাচাই প্রক্রিয়ার সময় কিংম্বা শপথ গ্রহণের সময় হাজিরা দিতে না পারেন তাহলে ডিএলসি ওই আবেদন বাতিল করার জন্য আবেদনপত্রটি এমপাওয়ারড কমিটির কাছে পাঠাতে পারে।
যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ডিএলসির আধিকারি সেই তথ্য অনলাইনে নিশ্চিত করে জানাবেন। এবং তিনি আবেদনকারীর শপথগ্রহণের প্রমাণ অনলাইনে জমা করাবেন। এরপর তিনি যাচাই সম্পূর্ণ হয়েছে জানিয়ে তিনি আবেদনপত্রটি পাঠাবেন এমপাওয়ারড কমিটির কাছে। এমপাওয়ারড কমিটি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দেখে নেবে। দরকার হলে তারা সমস্ত তথ্য যাচাই করতে নতুন করে অনুসন্ধান করতে পারে। এমপাওয়ারড কমিটি সন্তুষ্ট হলে তারা নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করবে অথবা সন্তুষ্ট না হলে নাকচ করবে। এরপরই মিলবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র। যদি আবেদনকারী ডিজিটাল শংসাপত্রের আবেদন করে তাহলে তা অনলাইনেই পেয়ে যাবেন তিনি। না হলে কাগজে সই করা শংসাপত্র এমপাওয়ারড কমিটির দফতর থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই এমপাওয়ার কমিটির দফতর আসলে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জনগণনা বিভাগের অধিকর্তার দফতর।
CAA Public Reaction: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে জানুন জনতার মেজাজ
সি এ এ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কী বলছে বাংলার মানুষ? দেখে নিন এক নজরে
Amit Shah:মমতাকে অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝার নিদান শাহের
নিউজ ডেস্ক: সিএএ নিয়ে এবার পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সম্প্রতি দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর অবশেষে সোমবার রাত থেকেই লাগু হয়েছে সিএএ। আর এই সিএএ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা নিশানা করছে কেন্দ্র কে। বিরোধীরা সিএএ নিয়ে ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, এনআরসি-র সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই আইনের। ঠিক যেমন অসমে হয়েছে, সেভাবে অন্যান্য জায়গাতেও সাধারণ মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। এই আইন কার্যকর হওয়ার ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়বেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ইস্যুতেই মমতাকে জবাব দিয়েছেন অমিত শাহ।
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ' অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছেন উনি। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই।' মমতার উদ্দেশ্যে শাহ বলেন, 'জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এমন একটি ইস্যুতে আপনি রাজনীতি করছেন। আপনি যদি এভাবে তোষণের রাজনীতি করতে থাকেন ও শরণার্থী নাগরিকত্ব দিতে না চান, তাহলে মানুষ আর আপনার পাশে আর থাকবে না।' অমিত শাহ মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, 'অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না মমতা।'
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত বার্তা দিয়েছেন শাহ। সিএএ নিয়ে এদিন অমিত শাহ আশ্বাস দিয়ে বলেন বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের কোনও ক্ষতি করবেন না। তিনি বলেন, রাজনীতি করার জন্য আরও অনেক প্লাটফর্ম আছে। শাহের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছেন ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে। সিএএ যে বাংলাতেও কার্যকর হবেই, সে কথা স্পষ্ট ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য সিএএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এর আগে আম জনতাকে সাবধান করে বলেছিলেন,"পুরোটাই ভাওতা,নির্বাচনের আগে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। যে সিএএ কেন্দ্র ঘোষণা করেছে তার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দরখাস্ত করলেই নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। যাদের দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে তারা সতর্ক থাকুন।"এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার বিরুদ্ধেই পাল্টা জবাব দিলেন আমিত শাহ।
Mamata Banerjee: "অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বিজেপির"- সিএএ নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
সোমবারই দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ। সিএএ কার্যকর হতেই সিএএ নিয়ে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। হাবড়ায় সভা থেকেই সাবধান করল জনতাকে। বললেন,"পুরোটাই ভাওতা,নির্বাচনের আগে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। যে সিএএ কেন্দ্র ঘোষণা করেছে তার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দরখাস্ত করলেই নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। যাদের দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে তারা সতর্ক থাকুন।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সিএএ প্রসঙ্গে আরও বলেন, অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা, বিজেপি লুডো খেলছে। কেউ বঞ্চিত হলে তিনি নিজেই আশ্রয় দেবেন এদিন হাবড়ার সভা থেকে এও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, সিএএ এর জন্য দরখাস্ত করলে তখন দরখাস্তকারীর চাকরি, ছেলে মেয়ের পড়াশোনা সবই বেআইনি ঘোষণা হয়ে যাবে। পাশাপাশি যারা দরখাস্ত করবেন তারা কিন্তু বৈধ নাগরিক থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্র হাবড়ায় প্রশাসনিক সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাবড়ার বাণীপুরের এই সভা থেকে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার পরই সিএএ ইস্যুতে লাগাতার কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বারবার বাংলায় সিএএ লাগু করতে দেব না বলে বার্তা দিয়েছেন। আবারও মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সিএএ কোনওভাবেই রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেব না। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না।
CAA: সিএএ কার্যকর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বিরোধী দলনেতার, পাল্টা হুঙ্কার মমতার
নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে অবশেষে দেশজুড়ে সিএএ (CAA) কার্যকর। সোমবার রাত থেকেই গোটা দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার। সিএএ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুরা। আবেদন করা যাবে পোর্টালে। জানিয়ে দিল কেন্দ্র। প্রসঙ্গত সিএএ কার্যকর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিজ্ঞপ্তি জারি করে গ্যারান্টি পূরণ করল মোদি সরকার, দাবি বিজেপির। মোদির গ্যারান্টি মানেই প্রতিশ্রুতি পালনের গ্যারান্টি। অন্যদিকে সিএএ নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। 'শুধুই ভাঁওতা, নাগরিকত্ব বাতিল হলে চুপ থাকব না', হুঙ্কার মমতার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।পাসপোর্ট বা ভিসার মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। সিএএ-র মাধ্য়মে এই শরণার্থীরা এমন সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তাঁদের আবেদনের রাস্তা আরও মসৃণ হবে। এদেশে বসবাসের ন্যূনতম সময় ১+১১ বছরের পরিবর্তে ১+৫ বছর হবে।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে সিএএ বা নাগরকিত্ব সংশোধনী আইনের কোনও সম্পর্কই নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। সিএএ বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন সেই অধিকার কেড়ে পারে না। এমনকী, মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপরও সিএএ-র কোনও প্রভাব পড়বে না।
২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে সিএএ প্রসঙ্গ তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর শুরু হয়েছিল স্বপ্ন বোনার কাজ। অবশেষে ভোটের ঠিক মুখে বড় ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার থেকেই বাসিন্দারা এনিয়ে আবেদন করতে পারবেন। সিএএ নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে ইতিমধ্যেই পোর্টাল জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস, কারও নাগরিকত্ব যাবে না।
CAA: আজই জারি CAA বিজ্ঞপ্তি ?
লোকসভা ভোটের আগে বড় পদক্ষেপ। আজই জারি হতে পারে CAA বিজ্ঞপ্তি। সূত্র মারফত জানা গেছে সোমবার রাত ১০ টায় বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভবনা। বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। সূত্রের খবর সিএএ জারির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চুড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে এই আইনে। ইতিমধ্যেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
CAA: লোকসভা ভোটের আগে কার্যকর CAA?
CAA: লোকসভা ভোটের আগে কার্যকর CAA? নিউজ ডেস্ক: সামনেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। আর কিছুদিনের মধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। কিন্তু এর মাঝেই দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু হতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই এই আইন কার্যকর হওয়ার খবরে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সম্প্রতি বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলায় শুরু হয়েছিল আধার কার্ড বাতিল হওয়ার সমস্যা। একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছিল। সেই বিষয়কে কেন্দ্র করেই তৃণমূল তরফে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। তবে এই বিতর্কের আঁচ নিভতে না নিভতেই এবার সিএএ নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হল। সূত্র মারফত জানা গেছে, লোকসভা ভোটের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লাগু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জারি করতে পারে CAA নোটিফিকেশন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু সহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(CAA)। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে এই আইনের নিয়ম তৈরি হয়নি এতদিনে। তবে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মার্চের শুরুতেই তিনবার বাংলায় পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে মোদীর বঙ্গ সফরের মাঝেই সিএএ কার্যকর হলে বঙ্গ বিজেপির ভিত বাংলায় বেশ শক্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে লোকসভা ভোটের আগে এই আইন জারি করা হলে দেশজুড়ে বিরোধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সত্যিই কি লোকসভা ভোটের আগেই কার্যকর হবে CAA?- এই প্রশ্নের উত্তর পেতে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।