Delhi's Air Pollution: বিষাক্তপুরী রাজধানী! ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি, জারি একাধিক নিষেধাজ্ঞা
Sweta Chakra... | 12:46 PM, Fri Nov 15, 2024
West Bengal: বছর শেষে সুখবর! বাড়ল ‘কর্মবন্ধু’দের বেতন, এবার থেকে মাসে কত টাকা মিলবে? জানুন
Sweta Chakra... | 12:17 PM, Fri Nov 15, 2024
Guru Nanak Jayanti: দেশজুড়ে পালিত গুরুনানক জয়ন্তী, অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে প্রার্থনা শিখদের
Sweta Chakra... | 12:09 PM, Fri Nov 15, 2024
Ashoknagar Rail service disrupted: অশোকনগর স্টেশনে রেল অবরোধ, ব্যস্ত সময় ভোগান্তি যাত্রীদের
Sweta Chakra... | 11:45 AM, Fri Nov 15, 2024
Rupsha Chatterjee: গাঁটছড়া বাঁধার মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আরও এক সুখবর দিলেন রূপসা
Sweta Chakra... | 11:31 AM, Fri Nov 15, 2024
Healthy Breakfast Menu: আজ থেকেই ব্রেকফাস্টে খান এই খাবারগুলি, দিনভর কাজে পাবেন ভরপুর এনার্জি
Sweta Chakra... | 10:38 AM, Fri Nov 15, 2024
PM Modi: গন্তব্য ৩টি দেশ, ১৬ নভেম্বর থেকে ৬ দিনের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী
Sweta Chakra... | 10:18 AM, Fri Nov 15, 2024
Jyotipriya Mallick: গুরুতর অসুস্থ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ভর্তি হাসপাতালে
Sweta Chakra... | 09:52 AM, Fri Nov 15, 2024
Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে অবশেষে পারদ-পতন, শীতের আমেজ অনুভূত গ্রাম বাংলায়
Sweta Chakra... | 09:36 AM, Fri Nov 15, 2024
Governors reports Chiefs Ministers: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব, কটাক্ষ স্পিকারের
Sweta Chakra... | 18:12 PM, Thu Nov 14, 2024
Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি
Sweta Chakra... | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024
Budget 2024: বাজেটে খুশি কৃষক সংগঠন, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষে জোর সরকারের
নিউজ ডেস্ক: বাজেটের (Budget 2024) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হল কৃষক
সংগঠনগুলি। ভারতীয় কিষান সংঘের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের
বাজেটে প্রশংসা করা হয়েছে। কিষাণ সংঘের প্রধান মোহিনী মোহন
মিশ্রা জানিয়েছেন,তাঁদের সংগঠন এই
বাজেটকে স্বাগত জানাচ্ছে। এবারের বাজেট কৃষক বান্ধব এবং
কৃষকদের (Agriculture Sector) স্বার্থ রক্ষা করবে।
উচ্চ উৎপাদনশীলতা এবং প্রাকৃতিকভাবে চাষে অগ্রাধিকার (Budget 2024)
সরকার এই বাজেটে (Budget 2024) শস্যের উচ্চ উৎপাদনশীলতা এবং প্রাকৃতিকভাবে চাষের পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এজন্য বাজেটেও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কৃষিতে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সরকার এবারের বাজেটে বরাদ্দ রেখেছে। কৃষি খাতের জন্য কৃষকদের ৩২ টি নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল এবং ১০৯ টি নতুন প্রজাতির ফসলের বীজ কৃষকদের (Agriculture Sector) দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
১০ হাজার বায়ো ইমপোর্ট রিসোর্স সেন্টার খোলা হবে
কিষাণ সংঘের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, বেশি উৎপাদনের নামে যদি জিএম ফসলের অনুমোদন দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কিষাণ সংঘ এর বিরোধিতা করবে। মোহিনী মোহন মিশ্রা গবেষণা করার জন্য বেসরকারি খাতের পরিবর্তে আইসিএআরকে (ICAR) আরও বাজেট দেওয়ার পক্ষে জোর দিয়েছেন। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য সরকার এক কোটি কৃষককে শংসাপত্র এবং ব্র্যান্ডিং-এরজন্য সহায়তা ও উৎসাহিত করার কথা বলেছে। এর জন্য সরকার বাজেটে (Budget 2024) ১০ হাজার বায়ো ইমপোর্ট রিসোর্স সেন্টার খোলার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে। সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় এবং বিষ ও রাসায়নিক মুক্ত চাষের দিকে সরকারের একটি খুবই অর্থবহ পদক্ষেপ।
সবজি চাষের ক্লাস্টার গড়বে সরকার (Agriculture Sector)
এবারের বাজেটে (Budget 2024) সরকার সবজি উৎপাদনে ক্লাস্টার নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে ডাল এবং ভোজ্য তেলের বীজ উৎপাদনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও ক্যাম্পেনের কথা ঘোষণা করেছে। মূলত দেশ জুড়ে জনসংখ্যাবৃদ্ধির ফলে ১৫০ কোটি মানুষকেকে খাদ্য সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যাতে কোনও মানুষ অভূক্ত না থাকে, তার জন্যই সরকারের এই ব্যবস্থা। সবজি, ডাল ও ভোজ্য তেলের বীজের ক্লাস্টার তৈরি হলে দেশের চাষীদের একটা বড় অংশ (Agriculture Sector) উপকৃত হবে। বিশেষ করে ছোট চাষিরা কিষান ক্রেডিট কার্ডের ফলে দেশের প্রায় ৪০০ টি জেলার খরিফ চাষিরাও উপকৃত হবে। এই বাজেটে সরকার জনজাতি উন্নয়ন গ্রাম যোজনা যোজনার ঘোষণা করেছে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী পরিবার উপকৃত হবে।
Farmers Reject MSP Proposal: কেন্দ্রের MSP প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ৫ লক্ষ কৃষকের
নিউজ ডেস্ক: এমএসপি (MSP) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ৫ লক্ষ প্রতিবাদী কৃষক। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্ত এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষকরা জানান, সরকারের দেওয়া প্রস্তাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। ফলে তারা কেন্দ্রের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করছে।
কৃষকরা বলেছেন, “সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে আমরা তা খারিজ করেছি। এতে কৃষকদের কোনও লাভ হবে না। কৃষকদের উপর লুটপাট চলতেই থাকবে। সরকারের উদ্দেশ্য ঠিক নয়। কৃষকদের প্রতিবাদ করতে না দিলে, তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি।”
প্রসঙ্গত, এতদিন ডাল-তুলোর মতো বেশ কিছু ফসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করা হত না। তবে দেশের স্বার্থে সেই সব ফসল ফলানোর জন্যে কৃষকদের উৎসাহিত করতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সেই সব ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা হবে। তবে আন্দোলনকারী কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, ২৩টি ফসলের উপরই এমএসপি চাই তাদের।
উল্লেখ্য সম্প্রতি এবিষয়ে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। চতুর্থ দফার ওই বৈঠকে আন্দোলনকারী কৃষকদের আগামী পাঁচ বছরের জন্য শস্যের সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কেন্দ্র একটি প্রস্তাব দেয়। পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে ছিলেন আরও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, নিত্যানন্দ রাই এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, সরকারি সংস্থাগুলি আগামী পাঁচ বছর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল কেনার জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করবে। ফসল কেনার কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না। তবে কেন্দ্রের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
Farmers protests: কৃষক মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কান্ড, দুদিনের জন্য স্থগিত ‘দিল্লি চলো’ অভিযান
নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত দিল্লি। হরিয়ানার খানাউরি সীমান্তে এক কৃষকের মৃত্যু ঘিরে ফের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। প্রতিবাদ সভা চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ই ওই কৃষকের মৃত্যু হয় বলে খবর। ঘটনায় কৃষকদের তরফে অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকেই। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে কৃষকরা ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে হরিয়ানার দিক থেকে ধেয়ে আসে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রবার বুলেট। এতেই মৃত্যু হয় প্রতিবাদরত এক কৃষকের। এদিকে কৃষকের মৃত্যুর পর ‘দিল্লি চলো’ অভিযান দুদিনের জন্য স্থগিত রাখার ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। বুধবার বিকেলে হরিয়ানার খানৌরিতে আন্দোলনরত তরুণ কৃষক শুভ করণ সিংয়ের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। যদি চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। সূত্রের খবর, তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই এক জনের মৃত্যু হয়। তবে বাকি দুই জনের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।
খানৌরির এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আগামী দুদিন আন্দোলন স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।। এরই মধ্যে আলোচনায় বসবে সংগঠনগুলি। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা গেছে। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়েও আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত,কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ পদযাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে, হরিয়ানা সরকার বুধবার সাতটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট এবং এসএমএস-এর উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসা জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। এরই সঙ্গে বেশ কিছু এক্স হ্যান্ডেল ও পোস্ট নিষিদ্ধ হচ্ছে ভারতে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে এই কাজ করতে চলেছে এলন মাস্কের সংস্থা এক্স বা সাবেক টুইটার। যদিও সরকারি এই নির্দেশের সঙ্গে তারা সহমত নয় বলে সাফ জানিয়েছেন মাস্কের সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কিন্তু এক্সের পোস্ট সামনে আসার পর থেকেই জলঘোলা শুরু হয়েছে।
Farmer's Protest In Delhi: দিল্লিতে কৃষকদের নিশানা করে টিয়ার গ্যাস পুলিশের, ব্লক ১৭৭টি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট
নিউজ ডেস্ক: ফের দিল্লি চলো ডাক কৃষকদের। বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফায় জোরকদমে শুরু হচ্ছে কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান। কেন্দ্রীয় সরকারের এমএসপি পরিকল্পনাকে ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে কৃষকরা। তাঁদের কথায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব কৃষকদের স্বার্থ বজায় রাখছে না। তাই বুধবার থেকে ফের তাঁরা প্রতিবাদের পথে নামছে। এই অভিযান আটকাতে মঙ্গলবার থেকেই রাজধানীর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সেনা। টিকরি বর্ডারে নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। রয়েছে জলকামান থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাসের সেল। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দিল্লি অভিমুখে পদযাত্রার জন্য বুধবার যখন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কৃষকরা তখনই সেখানে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দফার আন্দোলন শুরুর মুখে কেন্দ্রীয় সরকার ১৭৭টি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের বক্তব্য, নিরাপত্তার কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতে তারা এই পদক্ষেপ করেছে। ওইসব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। গত সপ্তাহেও কেন্দ্রের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষকদের বৈঠক হয়। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব রাখা হয়, সেই নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি আলাদা করে বৈঠকও করে। তবে মঙ্গলবার সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়, সেই সঙ্গে এও ঘোষণা করা হয় যে বুধবার থেকে ফের তাঁরা ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে নামবে।
Farmers Protest: নির্বাচনের আঁচ শুরু আগেই তপ্ত কৃষক আন্দোলন! কতটা প্রভাব পড়বে জাতীয় রাজনীতিতে?
নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। আর তার আগেই ফের ভোটের মুখে দিল্লি চলো ডাক কৃষকদের। তবে সারা দেশের নয়। মূলত পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকরা মঙ্গলবার থেকে দিল্লির বুকে কৃষক আন্দোলন শুরু করার। ডাক দিয়েছিলেন। এদিন শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের হঠাতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছাড়ল পুলিশ। এমনকি ড্রোণ থেকেও কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছাড়ে পুলিশ। এর আগে কাঁদানে গ্যাসে গোলা ড্রোণ থেকে ছোঁড়ার ঘটনা বিরল।
রাজধানীতে আন্দোলনের আঁচ পড়ার আগেই সোমবার থেকেই রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনে গ্রেফতার করা হবে হুঁশিয়ারি রয়েছে। একমাসের জন্য জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। যে কোনও বড় জমায়েতে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি ফের ২০২০ সালে দিল্লির বুকে কৃষক আন্দোলনের দিন ফিরছে? সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন জারি রাখার নানা রকম প্রস্তুতি নিয়েই রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। সেবার অবশ্য রাজধানীর বুকে রীতিমত তান্ডব চালিয়েছিল একদল উগ্র আন্দোলনকারী অভিযোগ উঠেছিল শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের পিছন থেকে সমর্থনের।
পঞ্জাবে কৃষকদের এই দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে অরাজনৈতিক কৃষক সংগঠন 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা' এবং 'কিষাণ মজদুর মোর্চা'। আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে ২০২০ সালে কৃষির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার,দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি সরকারের তরফে অভিযোগ কৃষকদের। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। এবারও তাদের দাবিগুলির মধ্যে কৃষি সহায়ক মূল্য নির্ধারণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট আইন প্রণয়নেরও দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ আইন,কৃষিঋণ সম্পূর্ণ মুকুব করার দাবি করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। এরই পাশপাশি মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতেও সরব হয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কৃষকদের বোঝানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। কৃষকরা আন্দোলন থেকে পিছু হটতে নারাজ। এরপরই মঙ্গলবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। কমপক্ষে ২০ হাজার কৃষক এই অভিযানে সামিল হয়েছে। শুধু পাঞ্জাব থেকেই ১৫০০ ট্র্যাক্টর,৫০০ গাড়ি নিয়ে কৃষকরা দিল্লির উদ্দেশ্যেরওনা দেয়। তবে এবার পুলিশও তৈরি। এবার বলপ্রয়োগ নয় আগে ভাগেই চোর পুলিশ খেলা বন্ধ করতে চায় প্রশাসন। ফলে কৃষকদের এই আন্দোলন এবার কতটা ফলপ্রসূ হবে এখন সেটাই দেখার।