Sunday, December 22, 2024

Logo
Loading...
google-add
Vidyasagar Death Anniversary

Vidyasagar: কলেরা রোগীদের সেবা থেকে নিখাদ হোমিওপ্যাথির চর্চা- চিকিৎসক বিদ্যাসাগরকে চেনেন কি? 

Editor | 15:40 PM, Sat Jul 29, 2023

সিমন রায়: বিদ্যাসাগরের নামটার সঙ্গে একাধারে যেমন জড়িয়ে আছে বিধবা বিবাহের অনুষঙ্গ, একইভাবে জুড়ে আছে নারীশিক্ষার প্রসঙ্গও। কিন্তু বিদ্যাসাগর যে চিকিৎসাও করতেন জানতেন কি? কলেরা রোগীদের সেবা করা থেকে শুরু করে নিজে হাতে কারমাটারের নিম্নবর্গের সাঁওতালদের রোগ নিরাময়ের জন্য হোমিওপ্যাথির চর্চা, বিদ্যাসাগরের জীবনের এই অধ্যায় এখনও অনেকের কাছেই অজানা।

শোনা যায় জগদ্দূর্লভ সিংহের পরিচিত কিছু মানুষ একবার কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে শুনে বালক ঈশ্বরচন্দ্র স্থানীয় গৃহস্থ বাড়ি থেকে তাদের জল এনে খাওয়ালেন, ডাক্তার রূপচাঁদের বাড়ি থেকে বেদানা, মিছরি, এক কলসি পরিষ্কার জল এনে রোগীদের খাওয়ালেন, নিজের হাতে বমি-মলমূত্র পরিষ্কার করে ধোয়া কাপড় পড়ালেন। আবার ১৮৬৬ সালে দুর্ভিক্ষ লাগলে কলকাতার কলেজ স্কোয়ার অঞ্চলে উপোসী মানুষকে নিজে হাতে খাবার পরিবেশন করেছিলেন।


১৮৬৯-৭০ সালে বর্ধমানে এক ভয়ানক জ্বরে প্রচুর মানুষ মারা যায়। সেই সময় আর্ত মানুষদের বিদ্যাসাগর সেবা ঔষধ পথ্য দিয়ে সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছেন। জানা গিয়েছিল আসলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটছিল সকলের। ম্যালেরিয়া নির্মূল করার জন্য ডিসপেনসারি, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, বিদ্যাসাগরের ডিসপেন্সারি থেকে শুধু ওষুধপত্র নয়, পয়সা ও পরনের কাপড় পর্যন্ত পাওয়া যেত। এই ডিসপেন্সারির কাজে বিদ্যাসাগরকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন প্যারীচাঁদ মিত্রের ভাইপো ডাক্তার গঙ্গা নারায়ণ মিত্র। ম্যালেরিয়া রোগীকে সেখান থেকে কুইনাইন দেওয়া হত প্রয়োজনে তাদের বাড়ি গিয়েও বিদ্যাসাগর স্বয়ং ওষুধ পথ্য পৌঁছে দিয়ে আসতেন।

আরও পড়ুন: Mahasweta Devi: ‘লিখলে টাকা পাওয়া যায়…এটাই একমাত্র জিনিস যা আমি পারি’, শুধুই কি টাকার জন্য লিখতেন মহাশ্বেতা?

জীবনের শেষদিকে কারমাটারের সাঁওতাল পল্লীতে যখন থাকতে শুরু করেন সেইসময় একদিন এক মেথর এসে জানায় যে তার স্ত্রীর কলেরা হয়েছে। শোনামাত্র এক মুহূর্ত দেরি করলেন না বিদ্যাসাগর। ভৃত্যকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন মেথরের বাড়ি ওষুধ দিয়ে, পথ্য দিয়ে সেই মেথরানি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ছেড়ে বেরোলেন না। আবার একবার পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী একজায়গায় তার এক অভিজ্ঞতায় লিখছেন যে একদিন সকাল থেকে কারমাটারের সাঁওতালরা হাতে ভুট্টা নিয়ে আসছে বিদ্যাসাগরের কাছে। কারণ জিজ্ঞেস করে জানতে পারা গেল যে সাঁওতালদের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে ক্ষেতের মধ্যে, নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। বিদ্যাসাগর সেই শুনেই ছুটে গিয়ে তার চিকিৎসা করেন। আর তাই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই ভুট্টা উপহার! 

  • Trending Tag

  • No Trending Add This News
google-add
google-add
google-add

সংস্কৃতি

দেশান্তরের ইতিকথা

google-add

অন্যান্য

google-add
google-add

লোকাচার

google-add
google-add