Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

WB Assembly By Election:  ৬ বিধানসভায় উপনির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজ্য, উপনির্বাচনের মধ্যেই তপ্ত ভাটপাড়া

Sweta Chakrabory | 12:05 PM, Wed Nov 13, 2024

নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এর জেরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।আর এরই মধ্যে নৈহাটিতে উপনির্বাচন চলাকালীনই ভাটপাড়ায় চলল গুলি। তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। বাইকে এসে তৃণমূল নেতাকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সে সময় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।  ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জগদ্দলের পালঘাট রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধের নাম অশোক সাউ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অশোক সাউ ২০১৯ সালে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখনও তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে টোটোয় তিনি যাচ্ছিলেন। সে সময় পিছন থেকে কয়েক জন যুবক বাইকে তাঁকে অনুসরণ করছিল। পালঘাট রোড এলাকায় বাইক থেকেই এক জন যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ততক্ষণে বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।  আহত অবস্থায় অশোককে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কারা গুলি করল, তা নিয়েই ধন্দে আহতের পরিবার। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ, নাকি পুরনো কোনও শুত্রুতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনাকে বন্ধুদের গোলমাল বলেই দাবি করেছেন অর্জুন সিং।

প্রসঙ্গত, এ উপনির্বাচনকে তৃণমূলের জন্য এক বড় পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এরই মধ্যে ঘটেছে আরজি হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যা ঘিরে তীব্র আন্দোলন। চিকিৎসকেরা ওই হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন অবরোধ, রাজ্যজুড়ে রাতজাগা কর্মসূচি এবং অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। একটানা ১৭ দিন অনশন করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে না এলে অনশনকারীরা ধর্ষণের শিকার ও খুন হওয়া চিকিৎসকের মা–বাবার অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার করে নিলেও এখনো তাঁদের প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। আর এ ছয়টি আসনেই তীব্র লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। আরজিকর–কাণ্ডের জেরে এবার বিজেপি, বাম দল এবং কংগ্রেস আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও মাঠে রয়েছে। তৃণমূল মনে করছে নিজেদের পাঁচ আসনে তো তারা জিতছেই, বাকি বিজেপির হাতে থাকা মাদারিহাট আসনটিও এবার তারা বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেবে।

অন্যদিকে বিজেপি বলেছে, তারা তাদের একমাত্র আসন মাদারিহাটে জিতে বাকি পাঁচটি আসনেও ভাগ বসানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করছে, ওই পাঁচটি আসনের একটি বা দুটি ছিনিয়ে নিতে পারলেই তারা কার্যত জয়ী হবে। তারা আরও মনে করছে, এবারের আরজিকর–কাণ্ড নতুন করেই রাজ্যবাসীর চোখ খুলে দিয়েছে। তাই তারা মনে করছে, এবার মানুষ তাদের দিকেই থাকবে।

upload
upload