Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে গঙ্গায় ডুবে গেল দমকলের গাড়ি,নিখোঁজ চালক
Sweta Chakra... | 18:06 PM, Sat Dec 21, 2024
Kejriwal announces ambedkar scholarship: আম্বেদকর স্কলারশিপের ঘোষণা কেজরির, দলিতদের শিক্ষায় দিলেন জোর
Sweta Chakra... | 18:00 PM, Sat Dec 21, 2024
kuwait: কুয়েত পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রবাসী ভারতীয়রা
Sweta Chakra... | 17:45 PM, Sat Dec 21, 2024
Mandarmoni: মন্দারমণির হোটেলে উদ্ধার তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ, আটক বান্ধবী
Sweta Chakra... | 16:08 PM, Sat Dec 21, 2024
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেলারে আগুন
Sweta Chakra... | 15:52 PM, Sat Dec 21, 2024
Murshidabad: জলঙ্গিতে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার, শোরগোল দক্ষিণপাড়ায়
Sweta Chakra... | 15:23 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:59 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:44 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:39 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:36 PM, Sat Dec 21, 2024
PM narendra modi visit kuwait: ২১-২২ ডিসেম্বর কুয়েত সফরে যাচ্ছেন মোদী, একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
Sweta Chakra... | 18:01 PM, Fri Dec 20, 2024
Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় জমকালো রোড শো মহাগুরুর
নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের শেষ বেলার প্রচারে সোমবার আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোটের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty),সকাল থেকেই ৮ থেকে ৮০ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস নিয়ে আলিপুরদুয়ারের রাজপথে ভিড় জমিয়েছিলেন। ডিআরএম চৌপথী থেকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের চৌপথী পর্যন্ত দল মত নির্বিশেষে বিএফ রোডের দু ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন।
প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা হাজার হাজার মানুষ একবার তার প্রিয় নায়ক কে দেখার জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে মাধবমোড় এলাকায় এসে মিঠুন চক্রবর্তী প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত বোধ করায় হুডখোলা গাড়ি থেকে নেমে যান। এরপর তার কনভয় আলিপুরদুয়ার চৌপথীর দিকে রওনা হয়।
জনসংযোগে মিঠুন-
বাড়ির ছাদে,রাস্তার ধারে মিঠুনকে দেখে ভক্তরা হাত নেড়েছেন, পাল্টা মিঠুন নমস্কার করেছেন। মিঠুনের সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন বিজেপির(BJP) আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। মহাগুরু গাড়ি থেকে নেমে যেতেই পায়ে হেটে বাকি পথ হেঁটেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ(Manoj Tigga)। তবে তিনিও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রাস্তার পাশে বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীকে হাওয়া করতে শুরু করেন। কিছুক্ষন পর স্থিতিশীল হন তিনি।
রাজনীতির উর্ধ্বে অন্য ছবি-
অন্যদিকে শহরের ১১ ভাগ কালিবাড়ি এলাকায় জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শ্যামল রায় মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন, তার সঙ্গে হাত মেলাতে আসায় মিঠুন চক্রবর্তী ও পাল্টা হাত এগিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির উর্ধ্বে এ যেন অন্য ছবি ধরা পরল মিঠুনের আলিপুরদুয়ার শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে।
Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গ প্রচারে মহাগুরু
নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পরামর্শে এবার ফের ভোট প্রচারের ময়দানে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তার প্রচার শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে রবিবার ১৪ই এপ্রিল থেকে। টানা তিন দিনের উত্তরবঙ্গে থাকছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও কোচবিহারে(Coochbihar) দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তার র্যালি ও সভা রয়েছে। স্থানীয় দলীয় কর্মীদের আহবানে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই উত্তরবঙ্গে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে দলের উঁচুতলা থেকে নিচুতলার সমস্ত কর্মীরা। কারণ উত্তরবঙ্গ এখনও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তবে দক্ষিণবঙ্গেও তারা প্রচারে হেলাফেলা করতে রাজি নয়। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে। সেই সমস্ত আসনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামানো হবে এমনটাই দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যেহেতু দক্ষিণবঙ্গে পরবর্তী দফাগুলিতে ভোট রয়েছে তাই আগেভাগে উত্তরবঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামাচ্ছে পদ্ম শিবির।
প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ভোট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের এই সমস্ত আসনে আগেভাগেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচার সেরে গিয়েছেন। শেষ বেলার প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামিয়ে বাজিমাত করতে চায় পদ্ম বাহিনী। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই প্রচারে তারকা প্রচারক হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির হয়ে সুর ছড়িয়েছেন। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তার ঠাসা কর্মসূচি ছিল এবার। আবার লোকসভার ময়দানে তারকা প্রচারক হিসেবে দেখা যাবে ডিস্কো ড্যান্সারকে। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বাংলার আবেগ জড়িয়ে আছে। সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চায় পদ্মফুল শিবির। শেষ বেলায় বাজিমাত করতে নিশীথ প্রামাণিক, মনোজ টিগগা এবং জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা রোড শো সহ একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মিঠুন।
Hiran Chatterjee: ভোট প্রচারে বেড়িয়ে এবার সরাসরি ভোটারের রান্নাঘরে হিরন!
নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন(lok sabha vote 2024), হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। আর এরই মধ্যে ভোটের ময়দানে টিকে থাকতে প্রচারে(election campaign) ঝড় তুলছেন সব দলের প্রার্থীরাই। আর এই প্রচারে বেড়িয়েই বিভিন্ন ধরনের কাণ্ডকারখানা করতে দেখা যায় প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম নেই। কেউ প্রচারে বেরিয়ে রান্না করছেন তো কেউ আবার পরিবেশন করছেন। কেউ বিক্রি করছে সবজি কেউ তো আবার সেলুনে ঢুকে চুলও কেটে দিচ্ছে। আর এবার সরাসরি ভোটারের রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন প্রার্থী। প্রচারে বেরিয়ে এবার এমনই কাণ্ড ঘটালেন ঘাটালের(ghatal) বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আর বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণকে(Hiran Chatterjee) হঠাৎই বাড়িতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে বুধবার ১০ এপ্রিল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ডেবরা নামক একটি জায়গায় প্রচার সারছিলেন বিজেপি(BJP) প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আর এদিন প্রচারের ফাঁকেই তিনি এখানকার এক ব্যক্তির রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর সেখানে গিয়ে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে জমিয়ে রান্না করেন। কেবল রান্নাই নয় এদিন তিনি সেই বাড়িতেই দুপুরের খাবার খান। মেনুতে ছিল খোসলা শাক, ইঁচড়ের তরকারি, বড়া ভাজা ও মাছ ভাজা।
আর বিজেপি প্রার্থীর এদিনের এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায়(social media) ট্রোল্ড হয়েছেন তিনি। কেউ কেউ লিখেছেন আজকাল ভোট প্রার্থীরা নাকি ফুড ব্লগারে পরিণত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে চলছে তুমুল হাসি মশকরা।
তবে এটাই প্রথম নয় এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় জনসংযোগ বাড়াতে অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছিলেন। প্রচারে বেরিয়ে তিনি এক ব্যক্তির গায়ে সাবান লাগিয়ে দিয়েছিলেন হিরন। সেবারও সেই ছবি তুমুল ভাইরাল হয়েছিল।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, এবারের ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী তারকা সাংসদ হিরন চট্টোপাধ্যায়ের(Hiran Chatterjee) প্রতিপক্ষ হয়ে ময়দানে নেমেছে আরেক তৃনমূল(TMC) প্রার্থী তারকা সাংসদ দেব(dev) ওরফে দীপক অধিকারী। তাই ঘাটালের রাজনৈতিক ময়দানে ভোটের খেলা যে বেশ জরদারই হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে নানান কায়দায় ঝড় তুলছে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
Kirti Azad: "শুভেন্দু অধিকারীর লোকই হারাবে দিলীপকে"- বলছে বিজেপির একাংশ
নিউজ ডেস্ক: বিজেপির(BJP) লোকেরা বলছে, শুভেন্দু অধিকারীর(suvendu adhikari) লোকই হারাবে দিলীপকে। প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। । সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে আন্দামান পালিয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালে বর্ধমান- দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে(dilip ghosh) এমনই নিশানা করলেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
শনিবার সকালে দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর এ - জোন পার্কে পাণ্ডবেশ্বর তৃণমূলের বিধায়ক ও জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে আসেন কীর্তি আজাদ(kirti azad)। প্রাতঃভ্রমণে এসে তিনি প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন, খেলেন ফুটবলও।
তারপরেই লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে বলেন, "বাংলার মানুষ ভদ্র। কিন্তু ঐতিহ্য সংস্কৃতি সবই নষ্ট করছে বিজেপি।" দিলীপ ঘোষ নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন আন্দামানে। সেই বিষয়ে দিলীপকে আক্রমণ করে বলেন, "শুধু পালিয়েই যাননি। বাংলা ছেড়ে বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে একেবারে আন্দামানে পালিয়েছে। বিজেপির লোকেরা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছে। যা বলছে তা আমি খুলে বলবো। বিজেপির লোকেরা বলছে শুভেন্দু অধিকারীর লোকই হারাবে দিলীপকে।"
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের কাছের মানুষ বিজেপির টিকিটে আন্দামানে প্রার্থী হওয়া বিষ্ণুপদ রায়। তাই তাঁর হয়ে ১ দিনের জন্য প্রচার ও জনসংযোগ করতে যাচ্ছেন দিলীপ। আন্দামান তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা, সেখানকার মানুষও। তাই ভোটের হাওয়ায় দিলীপের ওপর ভরসা রাখছেন বিষ্ণুপদ রায়। সেখানে কাজ সেরেই ফের বর্ধমান-দুর্গাপুরে ফিরবেন দিলীপ।
Santanu Thakur : বাইক মিছিলের মাধ্যমে প্রচার শুরু শান্তনু ঠাকুরের
নিউজ ডেস্ক : বনগাঁয়(bangaon) হুডখোলা জিপে ভোট প্রচার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের(Santanu thakur )। সঙ্গে রয়েছেন জেলা সভাপতি দেবদাস মন্ডল । লোকসভা ভোটের(lok sabha election 2024) বাকি আর কয়েকটি দিন। শাসক হোক বা বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলিরই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। রোজই চলছে ভোট প্রচার। এবারের লোকসভা ভোটে, পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিশেষ নজর রেখেছে বিজেপি। তাই ভোট প্রচারে ও কোন অংশে পিছিয়ে নেই বিজেপি প্রার্থীরা। এবার জনসংযোগ বাড়াতে ভোট প্রচারে(election campaign) বেরিয়ে পড়েছেন শান্তনু ঠাকুরও।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী(BJP candidate) শান্তনু ঠাকুর(Santanu thakur ), এদিন বনগাঁ মতিগঞ্জ থেকে একটি বাইক মিছিলের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। মাথায় পাগড়ী পড়ে জিপের সামনের সিটে বসেন শান্তনু। অন্যদিকে স্টিয়ারিং হাতে গাড়ি চালাচ্ছেন বনগাঁ জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল(Debashis Mondal)। আর গাড়ির পিছনে কয়েশো বাইক নিয়ে কর্মী সমর্থকরা। মতিগঞ্জ থেকে বাগদা পর্যন্ত এই প্রচার মিছিল হবে।
এদিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রচারে আসার খবর পেয়ে বনগাঁ পাইকপাড়ায় মহিলারা তাঁকে স্বাগত জানাতে হাতে ফুলের থালা ও মালি নিয়ে দাড়িয়েছিলেন। এরপর পাইকপাড়ায় শান্তনুর মিছিল পৌছাতেই শঙ্খ বাজিয়ে পুষ্প বৃষ্টি শুরু হয়ে। মহিলারা মালা পড়িয়ে বরন করেন শান্তনুকে।
এদিন প্রচারের(election campaign) সময় শান্তনু ঠাকুর বলেন,"জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ আশাবাদী।" স্লোগান দিয়ে বলেন,আপকি বার দুশ বাইশ আপকি বার ২ লাখ ২২ পার।
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস(Biswajit das)। অর্থাৎ বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিপক্ষ হয়েই এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামবেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি প্রচারের ময়দানে পিছিয়ে নেই কিন্তু বিশ্বজিৎ দাসও। ভোটের শেষ মুহূর্তে প্রচার চালাচ্ছেন তিনিও। বনগাঁয় ২০ মে পঞ্চম দফার ভোট। আর ৪ জুন ভোটের ফল(election result) প্রকাশের পরেই জানা যাবে জিত কার।
Uluberia: টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে প্রচার উলবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থীর
নিউজ ডেস্ক : গড়চুমুক শ্যামপুর রাস্তার ধরে অনেকটা যাওয়ার পরেই সরু ঢালাই রাস্তা। নেমে গিয়েছে দুই দিকেই। সেখান থেকে গেলেই পৌঁছানো যায় বারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগপাড়া, মন্ডলপাড়া, মল্লিক পাড়া, পালংদার পাড়া সহ একাধিক। আর সেই ঢালাই রাস্তা ধরে টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে প্রচার করলেন উলবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় পাল চৌধুরী। তৃণমূলের বক্তব্য আসলে দীর্ঘদিন তো ওদের কোন প্রার্থী এই এলাকায় প্রচারে আসেননি। সম্প্রতি তৃণমূল সরকারের সময়ে পাড়ায় পাড়ায় ঢালাই রাস্তা হয়েছে। আর তার উপরেই দিয়েই টোটোয় চেপে গ্রামে ঢুকে প্রচার করছে বিজেপি। তাও আবার বলছেন দিদি নাকি কিছু করেননি। গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা আবার পথশ্রী প্রকল্প হচ্ছে।
বুধবার অরুণ উদয় পাল চৌধুরী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ওই এলাকায় প্রচারে যান। এলাকাটি বিজেপির দু'নম্বর মন্ডলের মধ্যে পড়ে। প্রচারে যাওয়ার সময় মন্ডলপাড়া বাগ পাড়া সহ বিভিন্ন পাড়ার ঢালাই রাস্তার পাশেই বাসিন্দাদের বাড়ি। বাসিন্দারা বাড়ির সামনেই অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন। যাওয়ার সময় তাদেরকে লক্ষ্য করে হাতে নেড়েছেন, কাউকে প্রণাম করেছেন বিজেপি প্রার্থী। স্থানীয়দের বক্তব্য আগে এখানে রাস্তা ঠিকঠাক ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ঢালাই রাস্তার পরিকল্পনা করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে এখানে গ্রামের বহু রাস্তা ঢালাই হয়েছে। তাই বিজেপি প্রার্থী সহজে সেখান দিয়ে টোটোয় চেপে পাড়ায় পাড়ায় ঢুকে যাচ্ছেন। এই এলাকার বিজেপির মন্ডল সভানেত্রীরা ইরা পালংদারও স্বীকার করেছেন রাস্তা ভালো হওয়ায় আমাদের প্রার্থীর আশা সহজ হয়েছে। তবে তার যুক্তি কেন্দ্র সরকারের টাকায় অনেক তো গ্রাম সড়ক যোজনা রাস্তা হয়েছে। সুতরাং এটা কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু প্রশ্ন সেটা তো আর বাড়ির দোরগোড়ায় আসেনি।
বার গ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী মোল্লা এবং বার গ্রাম এলাকার তৃণমূল নেতা চিন্ময় পালংদার বলেন গ্রামে ঢালাই রাস্তা তৈরীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার অনেক টাকা আটকে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা আটকে দিয়েছে। রাস্তা আরও করা বাকি রয়েছে। উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে মানুষের কথা ভেবে সরকার পথশ্রী প্রকল্পের নিজের টাকা দিয়ে রাস্তা করছে দয়া করে বিজেপি প্রার্থী এগুলো দেখুক। যদিও বিজেপির বক্তব্য উন্নয়ন তো কেন্দ্র সরকারের টাকাতেই হয়েছে। রাজ্য সরকার টাকার হিসাব দিতে না পারায় কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে।
Locket Chatterjee: লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের জন্য ডায়েট টিপস লকেটের
নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার ফলে অস্বস্তি বাড়বে। এই সপ্তাহেই অনেক জেলাতে ৪০ ডিগ্রি পার হবে তাপমাত্রার পারদ। ঠিক এমন সময়তেই বাংলায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন(lok sabha election 2024), আর ভোট আসতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেছে ভোট প্রচার। তবে এই রোদে প্রতিদিন ভোট প্রচার(election campaign) থাকলেও নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে ভুলছেন না হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
নিয়ম করে ডায়েট(diet) মেনে খাবার খেয়েই রোজ প্রচার সারছেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী। এই প্রচারের মাঝেই ভোটের বাকি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যেও দিলেন ডায়েট টিপস। প্রচণ্ড গরমে সমস্ত প্রার্থীদের বেশী করে জল ও ঠান্ডা ভাত খেতে পরামর্শ দিলেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (locket chatterjee), একই সঙ্গে তিনি নিজের খাদ্য তালিকাও ভাগ করে নিলেন। জানালেন, "আমি নিজে বেশী করে বাতাসা খাচ্ছি, জল খাচ্ছি। সবাইকে বলবো বেশি করে জল খান, মুড়ি জল খান। বিগত দিনে চারটি নির্বাচনে এই পদ্ধতিতে লড়েই ভালও থেকেছি।"
উল্লেখ্য এদিন হুগলির বিজেপি প্রার্থী(hoogly BJP candidate) লকেট চট্টোপাধ্যায় হাতে পদ্ম ফুল নিয়ে, ব্যান্ড পার্টি সহকারে সকাল থেকে প্রচারে বের হন। এরপর সিঙ্গুর বিধানসভার পাঁচঘরা জলাপাড়া শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর কখনও পায়ে হেঁটে আবার কখনো হুড খোলা টোটোয় প্রচার সারেন পাঁচঘরা পঞ্চায়েত এলাকায়।
সে সময়ই প্রচারের মাঝে নিজের ডায়েট চার্ট জানালেন লকেট। সঙ্গে অন্যান্য প্রার্থীদেরকে(election candidate)ও দিলেন গরমে সুস্থ থাকার টিপস। তাই প্রবল গরমের মধ্যে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) প্রচার চালাতে অবশ্যই খেতে হবে বেশি করে জল ও তরল জাতীয় খাবার(liquid food)। আর পড়তে হবে হালকা রঙের ঢিলে ঢালা পোশাক। প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজনীতির ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলতে শরীর সুস্থ রাখতে এগুলিই হল চাবিকাঠি।
BJP candidate sukanta majhumder: মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে জীবনের অজানা কথা জানালেন সুকান্ত মজুমদার
নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। হাতে সময় খুব কম। তাই এই এপ্রিল-মে মাসের সূর্যের তেজেও দমে নেই বালুরঘাটের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের ভোট প্রচার। লড়াইয়ের ময়দানে মাথার ওপর চড়া রোদ নিয়ে প্রচারে নেমেছেন তিনি। তাই শরীর ঠিক রাখতে মানছেন কোন ডায়েট? (diet) মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে জীবনের অজানা কথা জানালেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)
প্রিয় খাবার থেকে ডায়েট চার্ট(Diet Chart), প্রচারে বেরিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে মানছেন কোন ডায়েট সব নিজেই জানালেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমি সাধারণত হালকা খাবার পছন্দ করি। এখন প্রচারের ব্যস্ততায় কর্মীদের বাড়ি খেতে হচ্ছে। তবে বাড়ির খাবার পেলে বেশি ভাল হয়।'
উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে(north bengal) রয়েছে প্রথম দফার ভোট। ফলত হাতে ভোট প্রচারের সময় কমে আসছে ক্রমশ। তাই এই সময় প্রচণ্ড গরমেও প্রচারে পিছুপা হটছেন না সুকান্ত। আর প্রচারে নেমে জন সাধারনের মাঝে ঝড় তুলতে হলে, নিজেকে ফিট রাখাটাও একান্তই প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও তাই অত্যন্ত সতর্ক বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার(sukanta majhumdar)। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি বদলে তার গলায় শোনা গেল ইলিশ, চিংড়ির গল্প। সুকান্তর কথায়, "আমি বাঙাল। পছন্দের তালিকায় ইলিশ। তবে ইলিশ সিজানাল বলে বেশি চিংড়ি হয়। " এই প্রচন্ড গরমে যখন চিকিৎসকেরা(doctor) শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন বেশি করে জল ,টক দই ও তরল জাতীয় খাবার খেতে বলছেন, সেই সময় বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী (balurghat BJP candidate) কি ডায়েটে রয়েছেন সে কথাও জানালেন নিজেই।
মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার দিন তিনি দুপুরে কি খেয়েছেন তা ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে। জানালেন ভাত,আলু পটলের তরকারি,সজনে ডাটার তরকারি, মাছের ঝোল,কুলের চাটনি ও টক দই দিয়ে সেরেছেন দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ(lunch), অতএব লড়াইয়ের ময়দানে শরীর ঠিক রাখতে সঠিক পথেই আছেন বালুরঘাটের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী।
Mamata Banerjee At Krishnanagar: কৃষ্ণনগরের সভা থেকেই CAA-NRC নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে জনসভা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়৷ কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ায় সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে এই সভা হচ্ছে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভা থেকেই সিএএ থেকে এনআরসির মত একাধিক ইস্যু নিয়ে ফের সুর চড়ালেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বাদ গেল না বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফও । মঞ্চ থেকে আবার একলা চলো-র বার্তাও দেন তিনি।
রবিবার প্রকাশ্য জনসভায় দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির (Krishnanagar Rajbari) ইতিহাস নিয়েও ফের ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi) নিশানা করেছেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণনগরের অমৃতা রায় ৷ গত বছর প্রশ্নের বিনিময়ে অর্থ কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে ৷ সেই ঘটনার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই কেন্দ্রটি থেকেই ফের প্রার্থী হবেন মহুয়াই ৷ এবার সেই মহুয়ার হয়েই কৃষ্ণনগরে প্রচারে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মহুয়ার হয়ে জনসমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট নিয়েও মুখ খুললেন মমতা। জানালেন, I.N.D.I.A জোটের নামটাও তাঁর দেওয়া। নির্বাচন মিটলে বাকিটাও দেখে নেবেন তিনি। এদিন মমতা আরও বলেন, "তৃণমূলকে কেন ভোট দেবেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তো। মাসে মাসে পেয়ে যাবেন। সারাজীবন পাবেন। মোদিকে এখন ঝুটা কথা বলতে হচ্ছে। জুমলা পার্টি বিজেপি। দেওয়াললিখন দিচ্ছে ৩০০০ দেবে। আমি বলি আগে ১০০ টাকা দিয়ে দেখা। এতদিন কেন দিসনি? এটা আমাদের করা। তোমাদের নয়। আজ পর্যন্ত না মেয়ে, না ছেলে, না কৃষক, না হিন্দু, না মুসলিম, না শিখ, না মতুয়াদের জন্য, কারও জন্য কিছু করোনি।"
Election Campaign: রবিবাসরীয় প্রচারে নানান মেজাজে প্রার্থীরা , জনসংযোগ বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ
নিউজ ডেস্ক: ভোট এগিয়ে আসতেই জমজমাট ভোট প্রচার চলছে চারিদিকে। প্রচারে অভিনবত্ব আনতে প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছেন প্রার্থীরা। যার উদ্দেশ্য, যে কোনও উপায়ে ভোটারদের মন পাওয়া। তেমনই রবিবাসরীয় প্রচারে নানান মেজাজে ধরা পড়লেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। সকাল হতেই যে যার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারে বেড়িয়ে পড়েছেন।
গলায় বিশাল মালা, চোখে চশমা, মাথায় পাগড়ি, মুখে হাসি। কখনও হাততালি দিচ্ছেন, কখন কোমর দোলাচ্ছেন গানের তালে তালে। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাগুইআটি নারায়ণতলায় গোপাল সেবা অনুষ্ঠানে গানের সঙ্গে এভাবেই তাল মিলিয়ে নাচলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। গোপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখও হলেন। সৌগতকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা গেল সাধারণ মানুষের মধ্যেও। তাঁর সঙ্গে গানের তালে কোমরও দোলালেন অনেকেই।
পাশাপাশি 'রামলালা'কে সঙ্গী করে রবিবাসরীয় সকালে নির্বাচনী প্রচারে বের হন সুভাষ সরকার। 'বিদায়ী' সাংসদ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সর্বোপরি এবারও বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার। এদিন দলীয় কর্মী-সমর্থকরের সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া গোবিন্দনগর বাসস্ট্যাণ্ডে অপেক্ষারত ও বাসে চেপে বসা যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকের হাতে অযোধ্যায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত 'রামলালা'র ছবি তুলে দেন।
অন্যদিকে সবজি বাজারেই সাত সকালে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে হাজির হলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। বাজারে আসা সবজি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতাদের মাঝে বামেদের পক্ষে ভোটদানের আবেদন জানান নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি উত্তর কলকাতাতেও(north kolkata) চলল ভোট প্রচার। কংগ্রেস (congress)প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের (pradip bhattyacharya) সমর্থনে বেলেঘাটায় ভোট প্রচার করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু(biman basu), তবে প্রচার সভা হলেও অনুমতি না থাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ল বাম-কংগ্রেস মিছিল।
PM Narendra Modi: কোচবিহার থেকেই বাংলায় প্রচার অভিযান শুরু প্রধানমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক: ভোট ময়দানে প্রচারে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবারও রাজ্যে ভোটপ্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। মাস দেড়েকের মধ্যে বেশ কয়েক বার এ রাজ্যে এসে সভা করেছিলেন তিনি। তবে লোকসভা ভোট ঘোষণার পর কোচবিহারে প্রথম সভা করতে চলেছেন মোদী। বিজেপি সূত্রে খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার এই সভা হতে পারে। শুধু কোচবিহার নয়, জোড়া সভা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। বালুরঘাট এবং জলপাইগুড়িতে সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রে খবর, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে বাংলায় প্রচারে নামবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। পরপর প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ দিয়েই বাংলায় প্রচার শুরু করবে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী ৪ এপ্রিল কোচবিহারে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই দিনই সভা রয়েছে মমতারও। গোটা ভোটপর্বে এ রাজ্যে মোদী তিরিশটিরও বেশি সভা করবেন বলে ঠিক রয়েছে। কাজেই তার আগে প্রচারে কোনো খামতি রাখতে চায় না বিজেপি।
সূত্রের খবর, এ বারের ভোটে পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের থেকে এ বারে পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি আসন জিততে চাইছে তারা। আর প্রধানমন্ত্রীকে সামনেই রেখেই প্রচার শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
Mamata Banerjee: দু’দফায় উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। রবিবার থেকে ভোটের প্রচারে নেমে পড়ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee),কৃষ্ণনগর (krishnanagar) লোকসভা কেন্দ্র থেকে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু হলেও প্রথম দফার প্রচারে এর পরেই তিনি সরাসরি চলে যাবেন উত্তরবঙ্গে । ৩ এপ্রিল উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৪ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গে প্রচার শুরু হওয়ার কথা৷ উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে তারপর জঙ্গলমহলে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
এরপর রমজান মাস শেষ করেই ফের ১২ ই এপ্রিল উত্তরবঙ্গে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ বেলায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় আরও দুটি করে সভা রয়েছে তাঁর৷ ১২ ই এপ্রিল থেকে ১৬ ই এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে আরও ২ টি করে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দ্বিতীয় দফায় উত্তরবঙ্গে মিছিলও করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই দফা মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে ৪টি,- কোচবিহারে ৩টি ও আলিপুরদুয়ারে ৩ টি করে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সূত্রের খবর, এবার ভোট প্রচারে প্রত্যেক লোকসভায় আগের বারের তুলনায় কম করে জনসভা করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্র থেকে যে সূচি পাওয়া যাচ্ছে তাতে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে সভা শেষে ৫ তারিখ তাঁর জলপাইগুড়িতে সভা করার কথা রয়েছে। ৬ এপ্রিল তিনি সভা করবেন রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে ৭ এপ্রিল তাঁর সভা করার কথা রয়েছে ৷ পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ৮ এপ্রিল সভা করার কথা ।
Kirti Azad: নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কীর্তি আজাদ! মাথায় হাত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের
নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হল প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে। রবিবাসরীয় প্রচার চলাকালীন তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর সামনেই চরমে উঠল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঢাক বাজিয়ে প্রার্থীকে নিয়ে চলছিল প্রচার। আচমকাই প্রার্থীকে আগে কে মালা পরাবে তা নিয়ে বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি, এমনকি হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা।কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি, শেষমেশ দুর্গাপুরে সংঘর্ষের আকার নেয় আইএনটিটিইউসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শেষমেশ প্রচার থামিয়ে ভয়ে মন্দিরে আশ্রয় নিলেন প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
জানা গেছে দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মিছিলের মধ্যেই বিবাদ বাঁধে। আর তা থামাতে না পেরে ‘ক্লান্ত’ প্রার্থী কীর্তি আজাদ ঢুকে পড়লেন শঙ্করানন্দ আনন্দ আশ্রমের মন্দিরে। সেখানে তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। প্রায় ৩০ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হলে পরে আবার প্রচারে বের হন প্রার্থী।
তবে হাতাহাতির ঘটনায় তৃণমূলের দু'পক্ষ পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। অন্যদিকে ভোটের বাজারে এমন ঘটনাকে ইস্যু বানাতে কালক্ষেপ করেনি বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থীর উদ্দেশে বিজেপির দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কটাক্ষ, "মালা পরানোকে ঘিরেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! ভাবা যায়! এখনও ৪০ দিন বাকি আছে। কীর্তি আজাদ দেখতে থাকুন, আর কী কী হয় ওর সঙ্গে। তাহলেই বুঝতে পারবে কাদের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন!"
যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, "এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই। কর্মীরা সকলে চায় মালা পরাতে, কেউ চায় কথা বলতে, অতি উৎসাহ, প্রেম থেকেই কর্মীরা এটা ঘটিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে অন্য মানে খোঁজা ঠিক নয়। এটা ভালবাসার বর্হিপ্রকাশ!"
Sayani Ghosh: ভোট প্রচারে বেড়িয়ে ক্ষোভের মুখে সায়নী ঘোষ
নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। আর এবার সেই ভোট প্রচারে বেড়িয়েই এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ল যাদবপুরের তৃনমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। শুক্রবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকার ৩৪ নং ওয়ার্ডে প্রচারে যান তৃনমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। আর সেখানে গিয়েই এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন সায়নী।
এদিন পানীয় জলের অভাব, রাস্তা ও নিকাশি নিয়ে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃনমূল প্রার্থীর ওপর। ভোট না দিলে রাস্তা হবে? প্রশ্ন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থীর । 'ভোট দিলেও রাস্তা হবে না', পাল্টা সরব এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক অভিযোগকারী বাসিন্দা বলেন,"ভোট দিয়ে কোনও লাভ নেই। কোনও পার্টিকেই ভোট দেওয়া ঠিক নয়। কাউকে ভোট দেব না। জল তো আছে, ড্রেনের জল বেরনোর কোনও জায়গা নেই। জলের কথা বলি না, জল কেউই দেবে না। ড্রেন দেয় না, আবার জল। আরে খাবার জলই ঠিক মতো দেয় না।"
স্থানীয় বাসিন্দাদের মূল অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল বদল হলেও তাঁদের কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরেই বিক্ষোভকারীদের পাল্টা জবাব দিয়ে সায়নী বলেন, ‘জলের প্রকল্পের কাজ হয়ে গিয়েছে, ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ চলছে। এই যে রাস্তাগুলো দেখছেন আপনারা, এখানে খোঁড়া আছে কারণ জলের লাইন বসানো হচ্ছে। এগুলো তো একদিনের কাজ নয়, মানুষকে বুঝতে হবে’।
উল্লেখ্য ২০২৪ লোকসভা ভোটে যাদবপুরের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্র থেকে সায়নী ঘোষকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তবে এবার দাপুটে যুব নেত্রী সায়নীর ওপর আস্থা রেখেছে দল। এবার সেই সায়নীই প্রচারে বেরিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন। এখন অপেক্ষা শুধু ভোটের ফলাফলের।
BJP Candidates: উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতা থেকে জেলা-তুঙ্গে ভোট প্রচার
নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতা (Kolkata) থেকে জেলা, সব জায়গাতেই তুঙ্গে ভোট প্রচার। শাসক থেকে বিরোধী, ময়দানে নেমে পড়েছে সবপক্ষই। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে প্রচার, সঙ্গে জনসংযোগ। আর প্রচারের ফাঁকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। সবমিলিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে চড়ছে ভোটের পারদ। মঙ্গলবার বর্ধমানে দোল উৎসব। রাজা বাড়ি নিয়ম মেনেই দোলের পরের দিন হোলি খেলেন বর্ধমান বাসী। গতকালই বর্ধমানে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বর্ধমানে পা রাখতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন বর্ধমানের কর্মী সমর্থকরা। বর্ধমানে পা রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস এবার বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। অন্যদিকে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলকে দুষলেন দক্ষিন কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। দেবশ্রী চৌধুরীর পাশাপাশি তাপস রায়ও এদিন দক্ষিন কলকাতায় বিজেপির হয়ে প্রচারে নামলেন। তবে ভোট প্রচারে বেড়িয়ে এবার বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন৷ সূত্র মারফত জানা গেছে সোমবার বিকেলে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে যান তিনি ৷ ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফক্কোরেরহাট এলাকায় পৌঁছতেই বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা ৷ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় ।
Election Campaign: বসন্তের রং নিয়েই প্রচারে প্রার্থীরা
নিউজ ডেস্ক: সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে দোল। বসন্ত উৎসব। রং নিয়েই প্রচারে প্রার্থীরা। উৎসব উদযাপনের সঙ্গেই চলছে ভোটের প্রচার। কেউ এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। কোনো ছুটির দিনও নষ্ট করতে চাইছেনা কেউ। ফলে রাজ্য জুড়ে প্রচারের ঝড় তুলছে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।
প্রচারে বেড়িয়ে বিভিন্ন প্রার্থীরা বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে পথে প্রান্তরে। রঙের ছোঁয়া বিজেপি প্রার্থী লকেটের প্রচারেও। রবিবার সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়ে বসন্ত উৎসবে সামিল হলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। গ্রামের সাধারণ মহিলারা আবির নিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে তিনিও পালট আবির মাখিয়ে তাদের সঙ্গে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে। এদিন সিঙ্গুরের বাগডাঙ্গা-ছিনামোড় পঞ্চায়েতের দাইপুকুর এলাকায় প্রচার চালান লকেট।
এর পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্ব কর্মী সমর্থক বিধায়কের উপস্থিতিতে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হাট গোবিন্দপুরে জোরদার প্রচার করেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। প্রচারের শেষ লগ্নে দলীয় পতাকা হাতে বাজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে দেখা গেল কীর্তি আজাদকে। একই সাথে মাদলও বাজালেন তিনি।
অন্যদিকে প্রচারে বেড়িয়েছেন তৃনমূলের অন্যান্য প্রার্থীরাও। শুধু বিজেপি বা তৃণমূল নয় প্রচারে বেড়িয়েছেন বাম প্রার্থীরাও। প্রার্থী ঘোষণার পর মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারে মহঃ সেলিম । রবিবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের কমরেডদের নিয়ে রাস্তায় নামেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা প্রার্থী মহঃ সেলিম।
Loksabha Election 2024: জেলায় জেলায় ভোট প্রচারে প্রার্থীরা, কি বললেন দেখুন এক নজরে
নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট। আর এরই মধ্যে জেলায় জেলায় ভোট প্রচারে বেড়িয়ে পড়েছে প্রার্থীরা। অর্থাৎ বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম জোড় কদমে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে। প্রচারে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ সব দলই।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ট্রেনে চেপে ভোট প্রচার সারলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। ট্রেনে মশাগ্রাম যাওয়ার পথে প্রচার করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী। ঝালমুড়ি খেতে খেতে শুনলেন ট্রেন যাত্রীদের কথা। প্রত্যেকের কাছে হাতজোড় করে চাইলেন ভোট।
পাশাপাশি এই প্রথম সৌমেন্দু অধিকারীর হয়ে ভোট প্রচারে নামলেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। পরিবারের তিন ছেলে ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেও তিনি এখনও খাতায়কলমে জোড়াফুলে। রবিবার রামনগরের কালিন্দীতে কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুর প্রচারে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে সোমবার একদম সক্কাল-সক্কাল ভোটের প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন যাদবপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বাজারে গিয়ে প্রচারের সময় একদম সাধারণ মানুষের মতো সবজি কিনলেন দাম-দর করে। লালশাক, ফুলকপি আরও কত কী। জানালেন, তিনি বাড়ি না থাকায় কার্যত অসুবিধায়ই হয়ে যাচ্ছে তাঁর বাবার। সেই কারণে বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে যেমন প্রচারও হল। তেমন আবার বাজার করাও হল। প্রচার পর্বে সাংবাদিকরা সায়নিকে প্রশ্ন করেন তাঁর বিপরীতে দাঁড়ানো বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে নিয়ে। তৃণমূল নেত্রী বললেন, “সৃজন ভাল ছেলে। বামেরা যে এখন নতুন মুখদের তুলে আনছে এটা খুব ভাল কথা। এখন মানুষ বিচার করবেন কাকে ভোট দেবেন।”
এদিনই প্রচারে বেড়িয়েছিল যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। এর আগে বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত প্রচার শুরু করে দেন তিনি। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের বামনঘাটায় আসেন তিনি। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। এই কেন্দ্র থেকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
অন্যদিকে পাণ্ডুয়া বিধানসভা এলাকায় প্রচার করলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁরই অতীত সহকর্মী ও বিজেপির নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে সিমলাগড় কালীবাড়িতে পুজো দেন তিনি। এরপর হুডখোলা গাড়িতে চড়ে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
BJP Election Campaign Under Water: আন্ডার ওয়াটার ভোট প্রচার বিজেপির
নিউজ ডেস্ক: এ এক অভিনব ঘটনা। দেশের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো রুটে ভোট প্রচার করল বিজেপি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। শনিবারই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই যেসব দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তারা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ভোট প্রচার। শুক্রবারই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সদ্য নির্মিত হাওড়া-এসপ্লানেড মেট্রো। আর সেখানেই জলের গভীরে গঙ্গার তোলায় নয়া মেট্রোতে চেপে ভোট প্রচার করলেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী ।
এদিন অভিনব নির্বাচনী প্রচার সারলেন হাওড়া সদরের বিজেপি প্রার্থী। যাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতা ও চকলেট দেওয়ার মাধ্যমে জনসংযোগের নতুন মাধ্যম বেছে নিলেন এই বিজেপি প্রার্থী। জানা গেছে, এমনিতে পেশায় চিকিৎসক হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী প্রতিদিন হাওড়া থেকে নিজের গাড়ি করে কলকাতায় নিজস্ব চেম্বারে যান। তবে শুক্রবার তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেননি। হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত নতুন মেট্রো চড়েই যান। সঙ্গে ছিলেন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক।
এদিন মেট্রো স্টেশনে ঢুকেই প্রবেশপথে প্রথমে প্রচার করেন। এর পর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে গেলে আরপিএফ বাধা দেন তাঁকে। মৃদু বচসাও হয়। পরে যদিও টিকিট হাতে রথীন-সহ অন্যান্যরা মেট্রো স্টেশনে ঢুকে যান। এরপর হ্যান্ডমাইক নিয়ে তাঁর সমর্থনে প্রচার করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এদিন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন উমেশ রাই, গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য -সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা। যদিও এ প্রসঙ্গে রথীন চক্রবর্তী জানান,‘এটা ভোট প্রচার নয়। আমরা নরেন্দ্র মোদিজীর উন্নয়নের সাক্ষী থাকলাম।’
উল্লেখ্য গঙ্গার নিচের এই মেট্রো সফরের জন্য উদগ্রীব ছিলেন অনেকেই ৷ শুক্রবার তাই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ সেই ভিড়ের নজর বিজেপির দিকে টানতেই হাওড়া ময়দান স্টেশনের বাইরে প্রচারও শুরু করে গেরুয়া শিবির ৷ মাইকিং করা হয়, স্লোগান দেওয়া হয় ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে জয়ধ্বনিও দেওয়া হয় বিজেপির তরফে ৷