Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
google-add

Vishwakarma Puja 2024: বিশ্বকর্মা পুজোয় করুন এই কাজ, আর্থিক সমস্যা হবে দূর


Sweta Chakrabory | 11:54 AM, Tue Sep 17, 2024

নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja 2024)। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনে ব্রহ্মার সপ্তম পুত্র বিশ্বকর্মা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভগবান বিশ্বকর্মাকে বিশ্বের প্রথম স্থপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেব শিল্পী ভগবান বিশ্বকর্মার জন্মদিন উপলক্ষে কারিগর বা যে কোনও যন্ত্রপাতি দ্বারা কাজ করা লোকেরা ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো করে। এদিন তারা তাদের কাজের দক্ষতা ও অগ্রগতির জন্যও প্রার্থনা করেন।

এই বছর বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2024) শুভ সময় হল সকাল ১১:০৮ থেকে ০১:৪৩ পর্যন্ত। কথিত আছে নিষ্ঠা মেনে বিশ্বকর্মার পুজো করলে অর্থের অভাব হয় না এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে৷ পুজোর দিন সকালে স্নান করার পরে, বাড়ির মন্দিরে ভগবান বিশ্বকর্মার ছবি স্থাপন করা উচিত। এরপরে, তার সামনে কলসি রেখে তাতে জল ভরে গোটা চাল, ফল, ফুলের মালা, চন্দন, সুপারি, হলুদ সরিষা ইত্যাদি দেবতাকে নিবেদন করুন। সত্যিকারের চিত্তে এই প্রতিকার করলে আপনার সমস্ত সমস্যা শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে। এছাড়া পুজো শেষে প্রসাদ সকলকে বিতরণ করা বাঞ্ছনীয়। একইসঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামগুলি অয়েলিং করে, ধুয়ো মুছে রাখা উচিত। তার ফলে এইসব যন্ত্রপাতি ভালোও থাকে সারাবছর। ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়। এই সব নিয়ম আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালন করলে দেবতা তুষ্ট হন এবং অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে মহামন্ত্র। সেটি হল, দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক।

এরপর পুজো (Vishwakarma Puja 2024) শেষ হলে হাতে ফুল ও অক্ষত নিন। ভগবান বিশ্বকর্মাকে উত্সর্গীকৃত মন্ত্রগুলি তিন বা চারবার জপ করুন। এরপরে, আপনার হাতে উপস্থিত অক্ষতটি বাড়ির চার দিকে ছিটিয়ে দিন। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচকতা থাকবে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হতে শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2024) পাশাপাশি গতকাল ছিল রান্না পুজো। হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল এই রান্না পুজো। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন হয় অরন্ধন বা রান্নাপুজো। যদিও বাংলা বছরে দু’দিন অরন্ধন উৎসব পালিত হয়। মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর পরদিন শীতলষষ্ঠীতে শিলনোড়া পুজোর দিন, আর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন। এই দু’দিনই উনুন জ্বালানো হয় না। বদলে আগের দিনের রান্না করা খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে। রান্না পুজো বা অরন্ধন উত্সরব সারা বাংলা জুড়ে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, রান্না পুজোর দিন করা রান্না, পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন খাওয়া হয়। এই দিন আগের দিনের করা বাসি রান্নাই সারাদিন ধরে খাওয়া চলে। মরসুমের সেরা সবজি ও মাছ আরাধ্য দেবতাকে নিবেদন করাই রান্না পুজোর প্রধান লক্ষ্য। বলা হয়, রান্নাপুজো আসলে গৃহদেবতা ও উনুনের পুজো।

google-add
google-add
google-add

দেশান্তরের ইতিকথা

ফোকাস

google-add

অন্যান্য

google-add

ধর্ম

google-add
google-add
google-add

লোকাচার

google-add
google-add