Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
google-add

Durga Puja Rituals: শ্যামবর্ণা দেবী দুর্গা! বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়িতে দেবী পূজিত হন কালী রূপে


Sweta Chakrabory | 13:49 PM, Thu Oct 10, 2024

নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পুজোর একটা বড় অংশ হল বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja Rituals)। এই সব বাড়ির পুজোতে আছে নানা ধরনের রীতিনীতি। বনেদি বাড়ির পুজো মানে তার জাঁকজমকই আলাদা। কোথাও পূজিত হন একচালার দুর্গা, কোথাও মা আসেন তাঁর সখী জয়া-বিজয়ার সঙ্গে। কোথাও আবার পুজোয় আছে কামান দাগার চল। সেই সব রীতিনীতি জানলে চোখ কপালে ওঠে। তেমনই বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। যাঁর গল্প শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও।

অবিভক্ত বঙ্গভূমের পাবনা জেলায় ছিল স্থলবসন্তপুর৷ সেই স্থলবসন্তপুরের প্রথম জমিদার হরিদেব ভট্টাচার্য৷ তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ কালীসাধক এবং পণ্ডিত মানুষ৷ তাঁর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হয়েই রানি ভবানী তাঁকে স্থলবসন্তপুরের জমিদারি দান করেছিলেন৷ কথিত আছে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই কৃষ্ণবর্ণা দশভূজার (Black Idol of Durga) আরাধনা (Durga Puja Rituals) শুরু করেছিলেন তিনি৷ সেটা ছিল ১৭৩০ সাল৷ সেই ঐতিহ্য আজও অব্যাহত৷ তবে, এখন আর পাবনায় পুজো হয় না৷ আসানসোল ঘুরে ভট্টাচার্য পরিবারের বর্তমান ঠিকানা কলকাতার বেলেঘাটা৷ কৃষ্ণবর্ণা দেবী দুর্গা এখন পূজিতা হন এখানেই।

হরিদেব ভট্টাচার্য ছিলেন কালী ভক্ত। দুর্গা পুজো শুরুর বহু আগে থেকেই তার বাড়িতে মা কালীর আরাধনার চল ছিল। কথিত মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই দুর্গা পুজো (Durga Puja Rituals) শুরু করেন ভট্টাচার্য মশাই। মায়ের আদেশেই মূর্তির রং স্থির হয় কালো। কিন্তু মূর্তি কেন কৃষ্ণ বর্ণ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মনে। হরিদেব ভট্টাচার্য কথা বলেন, বহু পণ্ডিতের সঙ্গে কিন্তু কেউ তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শেষে একদিন গঙ্গার ঘাটে খুঁজে পান উত্তর। এক সাধুকে তার মনের সব কথা জানালে, তিনি নাকি বলেন মা পূজিতা হতে চান ভদ্রকালী রূপে। তাই এই কালো বর্ণের আদেশ। এরপর সেই সাধুই তালপাতায় লেখা একটি পুঁথি দেন হরিদেব ভট্টাচার্যকে। সেই পুঁথিতে লেখা নিয়ম অনুসারেই আজও পুজিত হন মা।

তবে মায়ের গায়ের রং কালো হলেও সন্তানদের রং কিন্তু গৌর বর্ণ, আর অসুরের রং হয় সবুজ। এ বাড়িতে পুজো হয় কালিকা মতে। পুরোহিতের গায়ে থাকে লাল বস্ত্র। তন্ত্র মতে (Durga Puja Rituals) পুজো করেন দেবীর। ভোগে সকালে থাকে নিরামিষ আর সন্ধে বেলা আমিষ। সন্ধি পুজোতে থাকে মাছ ভাজা, দশমীতে পান্তা ভাত এবং দই কলা। নিয়ম মেনেই বিসর্জন হয় দশমীতে।

google-add
google-add
google-add

সংস্কৃতি

দেশান্তরের ইতিকথা

google-add

ফিচার

google-add

অন্যান্য

google-add
google-add
google-add

লোকাচার

google-add
google-add